বিগ ব্যাশে রিকি পন্টিংয়ের দলে রিশাদ
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশের দল হোবার্ট হারিকেনসে ডাক পেয়েছেন রিশাদ হোসেন। এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু সাকিব আল হাসানই বিগ ব্যাশে খেলেছেন। আজ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিগ ব্যাশ ড্রাফটের চতুর্থ রাউন্ড থেকে রিশাদকে দলে নিয়েছে হোবার্টের দলটি। অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের দলটির হেড অব স্ট্র্যাটেজির দায়িত্বে আছেন তাসমানিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ক্রিকেটার রিকি পন্টিং।
সাবেক এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের অধীনে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন রিশাদ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনাপত্তিপত্র পেলে বিগ ব্যাশের আগামী মৌসুমে কিছু ম্যাচ হলেও খেলতে চান তিনি। একটা ‘কিন্তু’ যদিও আছে। যেটি বললেন রিশাদ নিজেই, ‘ওই সময় আমাদের বিপিএল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থাকার কথা। এর মধ্যে যদি সুযোগ হয়, তাহলে নিশ্চয়ই বিগ ব্যাশে খেলতে চাইব।’চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে দলটি। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। পরে কমিটি ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নামে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো যাবে না।
এর আগে গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরাতে সহযোগিতার ঘটনায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির শীর্ষ তিন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় দলটি।
শনিবার বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।বিএনপি থেকে নোটিশ পাওয়া দলটির নেতারা হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, প্রথম যুগ্মআহ্বায়ক এনামুল হক এনাম এবং কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মামুন মিয়া।
তার আগে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে কালুরঘাট শিল্প এলাকার (বিসিক) মীর গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউস থেকে একে একে ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ ও অডি, পোরশে ও রেঞ্জরোভার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, পটিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু এবং দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ হোসেন নয়ন গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার সময় তদারকি করছেন। তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের গাড়িচালক মনসুরও ছিলেন।
দলের নেতারা উপস্থিত থেকে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার স্বজনদের ব্যবহৃত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ছাত্র-জনতার মাঝে, উঠছে নানা প্রশ্ন। এর মধ্যেই দলটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করল।
মূলত, কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এস আলমের সম্পদ যেন কেউ না কেনেন, দেশের স্বার্থে অন্য কেউ যেন এই সম্পদে হাত না দেয়।’
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজারের সমিতিপাড়ার সৈকতে একজন ও ইনানী সৈকতে ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
জেলা ফিশিং বোর্ড মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকালে সমিতিপাড়ায় সৈকতের বালিয়াড়িতে একটি ও ইনানী সৈকতে দুজনের ভাসমান মরদেহ দেখে স্থানীয়রা বিচকর্মী ও লাইফগার্ডদের খবর দেন। এরপর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের ট্রলারডুবিতে মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে বলে জানান ফিশিং বোর্ড মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
এরপরই এস আলম গ্রুপ বিএনপি নেতাদের সহায়তায় তাদের সম্পদ A অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ শনিবার (৩১ আগস্ট) এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে। এতে বিষয়টির বিস্তারিত উপস্থাপন করে বিএনপি নেতারা দাবি করেন এসব ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা বানোয়াট খবর।
0 Comments