ছবি: Dr. tasnim Jara.
স্বপ্নদোষ, যাকে বাংলায় অনেক সময় "রাতের নির্গমন" বা "রাতের স্বপ্নে বীর্যপাত" বলা হয়, এটি একটি সাধারণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা সাধারণত কৈশোর এবং যৌবনের সময় ঘটে। এটি মূলত তখন ঘটে যখন শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত শুক্রাণু বা যৌন উত্তেজনা স্বপ্নের সময় অবচেতনভাবে নির্গত হয়। এখানে স্বপ্নদোষের কারণগুলো ব্যাখ্যা করা হলো:
১. শারীরিক পরিবর্তন:
কৈশোরে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে শুক্রাণু উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। যখন শরীরে অতিরিক্ত শুক্রাণু জমে যায়, তা স্বপ্নের মাধ্যমে নির্গত হয়।
২. যৌন চিন্তা ও স্বপ্ন:
যৌন চিন্তা বা উত্তেজনাপূর্ণ স্বপ্ন দেখার সময় মস্তিষ্ক যৌন উত্তেজনা অনুভব করে, যা বীর্যপাত ঘটাতে পারে। এই ধরনের স্বপ্নদোষ অবচেতন মনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
৩. বীর্যপাতের অভাব:
যারা নিয়মিত যৌন সম্পর্ক বা স্বমৈথুন করেন না, তাদের শরীরে অতিরিক্ত বীর্য জমে থাকতে পারে। ফলে শরীর থেকে সেই বীর্য স্বপ্নের মাধ্যমে নির্গত হয়।
৪. হরমোনের পরিবর্তন:
টেস্টোস্টেরন এবং অন্যান্য যৌন হরমোনের বৃদ্ধি স্বপ্নদোষের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলা হরমোনের স্তর বাড়তে পারে, যা বীর্যপাত ঘটায়।
৫. শারীরিক ও মানসিক চাপ:
শারীরিক বা মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ক্লান্তি, এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও স্বপ্নদোষের কারণ হতে পারে।
৬. পরিপূর্ণ মূত্রাশয়:
কখনো কখনো পরিপূর্ণ মূত্রাশয়ের কারণে যৌনাঙ্গে চাপ পড়ে, যা স্বপ্নদোষের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
স্বপ্নদোষ সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং এটি শরীরের একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।
সমাধান:
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং নিয়মিত ব্যায়াম।
- পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ।
- অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা এড়ানো।
এটি যদি অতিরিক্ত হয় এবং অসুবিধার সৃষ্টি করে, তবে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
0 Comments