আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:) দেখতে যেমন ছিলো-


হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুরাত বা শারীরিক গঠন ছিল অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ও আভিজাত্যে পূর্ণ। তাঁর সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব, এবং আচরণ সবকিছুই ছিল অনন্য। নিচে তাঁর সুরাতের বর্ণনা দেওয়া হলো: তবে শুরুতেই এ সম্পর্কে আমাদের শায়েখ মুশতাক ফায়েজী সাহেবের উপস্থাপনায় আমরা শুনবো👇

ভিডিও: শায়েখ মুশতাক ফায়েজী সাহেব।


•চেহারা:

তাঁর মুখমণ্ডল ছিল গোলাকার, কিন্তু পুরোপুরি গোল নয়, বরং সামান্য ডিম্বাকৃতির। চেহারার ত্বক ছিল উজ্জ্বল ও মসৃণ, যা দূর থেকে জ্যোতির মতো মনে হতো। তাঁর ললাট (কপাল) ছিল প্রশস্ত, যা তাঁকে আরও বেশি মহৎ দেখাত।

তাঁর চোখ ছিল বড়, কালো এবং গভীর। চোখের পাতা ছিল ঘন ও দীর্ঘ, যা তাঁর চাহনিকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলত। নাক ছিল উঁচু ও শারীরিক সৌন্দর্যের অন্যতম নিদর্শন।

দাঁতগুলো ছিল সাদা ও পরিষ্কার, বিশেষ করে কথা বলার সময় তাঁর সামনের দাঁতগুলো উজ্জ্বলতার সঙ্গে ঝলমল করত।


•চুল:

তাঁর চুল ছিল ঘন এবং সাধারণত কাঁধ পর্যন্ত লম্বা থাকত। কখনও কখনও তা ঘাড় পর্যন্ত ছোট করতেন।

চুল ছিল কিছুটা ঢেউ খেলানো, না পুরোপুরি কোঁকড়ানো, না একেবারে সোজা। মাথার চুল ও দাড়িতে বয়সের কারণে সামান্য পাকা চুল দেখা গেলেও, তাঁর বয়স অনুযায়ী খুব কম চুলই পেকেছিল।


•দাড়ি:

তাঁর দাড়ি ছিল ঘন ও কালো, যা তাঁর চেহারার মহত্ব বাড়িয়ে দিত।


•শারীরিক গঠন:

তিনি ছিলেন মাঝারি উচ্চতার, তবে সামান্য লম্বার দিকে ঝুঁকেছেন। শরীরের গঠন ছিল সুঠাম, না খুব মোটা, না খুব পাতলা। তাঁর শারীরিক গঠন ছিল যথাযথ ভারসাম্যপূর্ণ এবং মজবুত। কাঁধ ছিল প্রশস্ত, আর তাঁর বক্ষ ও পেট সমান ছিল, অর্থাৎ তিনি ছিলেন সম্পূর্ণরূপে সুঠামদেহী।


•গাত্রবর্ণ:

তাঁর ত্বকের রং ছিল উজ্জ্বল পীতাভ, যা তাঁর সুশ্রীতা ও মহত্ত্বের পরিচায়ক ছিল।


•হাঁটা ও কথা বলা:

হাঁটার সময় তিনি ধীরগতিতে দৃঢ়ভাবে চলতেন, যেন ঢালু ভূমিতে নিচে নামছেন। তাঁর কথা ছিল সুস্পষ্ট, অর্থপূর্ণ, এবং নরম সুরে। কথোপকথনে ছিল এমন আকর্ষণীয়তা যে শুনতে থাকা সবাই তা মনোযোগ সহকারে শুনত।


নবী করিম (সা.) এর ব্যক্তিত্ব, শারীরিক গঠন এবং চেহারার সৌন্দর্য ছিল শুধু বাহ্যিক নয়, বরং তাঁর চরিত্র ও আচরণও ছিল অপরিসীম মহৎ ও হৃদয়গ্রাহী, যা তাঁকে মহানবী হিসেবে পরিচিত করেছে।

Post a Comment

0 Comments